কীভাবে গ্রামের মেয়েরা শুধু স্মার্টফোন দিয়ে কোডিং শিখছে — বাংলাদেশের গ্রামে ডিজিটাল বিপ্লব
ভূমিকা: যে মেয়ে গাছের নিচে কোড লিখে
গাইবান্ধার এক গ্রামে, একটি বটবৃক্ষের নীরব ছায়ায়, ১৫ বছর বয়সী অঞ্জলি একটি পুরানো সুতির চাদরে হাঁটু গেড়ে বসে। তার ফোন — একটি দ্বিতীয় হাতের অ্যান্ড্রয়েড, যার স্ক্রিনে ফাটল ধরেছে — তার হাঁটুর উপর রয়েছে। ব্যাটারি ১২%। নেটওয়ার্ক সিগনাল ১জি আর ৩জির মধ্যে দোল খাচ্ছে।
সে Grasshopper নামের একটি অ্যাপ খুলল।
সে একটি ব্লক ট্যাপ করল।
সবুজ টিক চিহ্ন এল।
সে হাসল।
এটিই তার ক্লাসরুম।
তার শিক্ষক? একটি বিনামূল্যে অ্যাপ।
তার বই? একটি ১০ মিনিটের ইউটিউব টিউটোরিয়াল।
তার সহপাঠী? তিনটি ভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ১২টি মেয়ের একটি ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
অঞ্জলির কাছে ল্যাপটপ নেই।
ওয়াইফাই নেই।
তার জেলায় কোডিং একাডেমি নেই।
কিন্তু তার কাছে আছে আরও শক্তিশালী কিছু: কৌতূহল।
এবং বাংলাদেশ জুড়ে — নোয়াখালির ধানের খেত থেকে শুরু করে সিলেটের চা বাগান পর্যন্ত — অঞ্জলির মতো শত শত মেয়ে একই কাজ করছে।
তারা অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে না।
তারা অবকাঠামোর জন্য অপেক্ষা করছে না।
তারা কারও জন্য স্কুল তৈরি করতে বলছে না।
তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ছে — একটি স্মার্টফোন আর একটি স্বপ্ন দিয়ে।
এটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নয়।
এটি বাস্তব।
এবং এটি এখনই ঘটছে।
ডিজিটাল বৈষম্য: বাধা নয়, সেতু
বহু বছর ধরে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন:
“গ্রামের মেয়েরা প্রযুক্তি শিখতে পারবে না। ডিভাইস নেই। ইন্টারনেট নেই। আদর্শ নেই।”
কিন্তু ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেট সস্তা হয়েছে।
BDT ৫০০ দিয়ে ২GB ডেটা কেনা যায় — ৪০ ঘন্টার হালকা ব্রাউজিংয়ের জন্য যথেষ্ট।
স্মার্টফোন সাধারণ হয়ে গেছে।
গ্রামেও প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন আছে — প্রায়শই ভাই বা বাবার পুরানো ফোন।
বিনামূল্যে শেখার প্ল্যাটফর্ম এসেছে।
Khan Academy, SoloLearn, Grasshopper, এবং Programming Hub-এর মতো অ্যাপগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে সহজ, অফলাইন-বান্ধব পাঠ অফার করে।
হঠাৎ করে ডিজিটাল বৈষম্য দেয়াল নয় — এটি একটি সেতু হয়ে গেল।
এবং গ্রামের মেয়েরা সেই সেতু দিয়ে হাঁটা শুরু করল — নীরবে, আত্মবিশ্বাসে, এবং উদ্দেশ্য নিয়ে।
বাস্তব তথ্য, বাস্তব প্রভাব (২০১৬–২০২৩):
- ২০১৬ সালে, গ্রামের কেবল ৭% মেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছিল।
- ২০২২ সালে, ৪৩% মোবাইল ফোনে শিক্ষামূলক কনটেন্ট অ্যাক্সেস করেছিল।
- ২০২১ সালে, ২১২ জন মেয়ে ৩০টি গ্রাম থেকে বাংলাদেশের প্রথম মেয়েদের গ্রামীণ হ্যাকাথনে অংশ নেয় — শুধু স্মার্টফোন ব্যবহার করে।
- ২০২৩ সালে, ৩৮ জন মেয়ে দূরপ্রান্তের জেলা থেকে জাতীয় কোডিং বুটক্যাম্পে ভর্তি হয় — সবাই নিজে নিজে ফোনে শিখেছে।
এটি ভাগ্য ছিল না।
এটি ছিল কৌশল, ক্ষুধা এবং ভ্রাতৃত্ব।
কীভাবে এটি কাজ করল: গ্রামের মেয়েরা যে ৫-পদক্ষেপের সিস্টেম তৈরি করেছিল
কেউ তাদের শেখায়নি।
তারা নিজেরাই তাদের সিস্টেম আবিষ্কার করেছিল।
পদক্ষেপ ১: ফোন ছিল না “বাবার” — ছিল “আমার”
অনেক বাড়িতে স্মার্টফোনকে মনে করা হতো পুরুষের যন্ত্র — খবর, ক্রিকেট বা ব্যবসার জন্য।
কিন্তু অঞ্জলির মতো মেয়েরা এর উদ্দেশ্য পুনর্নির্ধারণ করেছিল।
তারা বলেছিল:
“এই ফোনটি শুধু কলের জন্য নয়। এটি শেখার জন্য।”
তারা ভাইদের সাথে বাগদান করেছিল:
“আমি ঘরের কাজ করব, যদি আমি সূর্যাস্তের পর এক ঘন্টা ফোন ব্যবহার করতে পারি।”
তারা ডিম বা হাতের তৈরি জিনিস বিক্রি করে টাকা জমা করেছিল নিজেদের দ্বিতীয় হাতের ফোন কিনতে — প্রায় BDT ১,৫০০–২,০০০।
মালিকানা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ফোন যখন “তাদের” হয়ে যায়, শেখা ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে — ধার করা নয়।
পদক্ষেপ ২: অফলাইন শেখাই চাবি
গ্রামে ইন্টারনেট ধীর, দামি এবং অবিশ্বস্ত।
তাই মেয়েরা সবকিছু ডাউনলোড করে নিয়েছিল।
- ইউটিউব অফলাইন ব্যবহার করে ১০ মিনিটের টিউটোরিয়াল সংরক্ষণ করেছিল
- সরকারি শিক্ষা পোর্টাল থেকে PDF বই ডাউনলোড করেছিল
- অ্যাপ ইনস্টল করেছিল যা ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করে (SoloLearn-এর অফলাইন মোডের মতো)
অঞ্জলির প্রো টিপস:
“আমি রবিবার আমার চাচার ওয়াইফাইয়ে পাঠ ডাউনলোড করি। তারপর সারা সপ্তাহ পড়ি — যদিও কোনো সিগনাল না থাকে।”
এটি ছিল প্রযুক্তি-দক্ষতা নয়।
এটি ছিল সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা।
পদক্ষেপ ৩: ওয়াটসঅ্যাপ স্টাডি গ্রুপ
শিক্ষক নেই। ক্লাসরুম নেই।
কিন্তু তাদের ছিল একে অপর।
পাশের গ্রামের মেয়েরা গঠন করেছিল ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ — প্রায়শই এগুলোকে নাম দেওয়া হয়েছিল:
- “কোড সিস্টার্স – নোয়াখালি”
- “ফিউচার কোডার্স – রংপুর”
- “গার্লস হু কোড – চা বাগান”
তারা শেয়ার করেছিল:
- ত্রুটি বার্তার স্ক্রিনশট
- বিনামূল্যে কোর্সের লিংক
- কঠিন দিনে উৎসাহ
যখন একজন আটকে যেত, অন্য জন কয়েক মিনিটের মধ্যে উত্তর দিত।
এটি ছিল শুধু শেখা নয়।
এটি ছিল সম্প্রদায়।
পদক্ষেপ ৪: কীবোর্ড ছাড়া কোডিং
ফোনে কোড কীভাবে লেখা যায়?
প্রথমে, তারা Grasshopper-এর মতো ব্লক-ভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করেছিল — যেখানে আপনি কমান্ড টেনে আনেন।
তারপর, তারা চলে আসে টেক্সট-ভিত্তিক কোডিং-এ — Dcoder বা Programming Hub-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে।
তারা দ্রুত টাইপ করা শিখেছিল।
তারা ছোট স্ক্রিনে ডিবাগ করা শিখেছিল।
তারা ভুলকে যাত্রার অংশ হিসাবে গ্রহণ করেছিল।
সিলেটের এক মেয়ে বলেছিল:
“আমার প্রথম প্রোগ্রাম চালাতে ৩ দিন লেগেছিল। কিন্তু যখন এটি ‘Hello, World’ প্রিন্ট করল — আমি কাঁদলাম। আমার ভাই ভেবেছিল আমি আহত। আমি বললাম: ‘না — আমি ফোনকে কথা বলতে শিখিয়েছি!’”
পদক্ষেপ ৫: কোডকে বাস্তব সমাধানে পরিণত করা
তারা শুধু মজার জন্য শেখেনি।
তারা গ্রামের সমস্যার সমাধান করেছে।
- বরিশালের এক মেয়ে মনসুনের সময় জলের স্তর ট্র্যাক করার জন্য একটি সহজ অ্যাপ তৈরি করেছিল — এসএমএস সতর্কতা ব্যবহার করে।
- রাজশাহীর একটি গ্রুপ কৃষকদের ফসলের দাম শেখানোর জন্য একটি চ্যাটবট তৈরি করেছিল — ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে।
- কক্সবাজারের এক কিশোরী কৈশোর মেয়েদের জন্য একটি ডিজিটাল ডায়েরি ডিজাইন করেছিল — গোপনীয়তা এবং অফলাইন অ্যাক্সেস সহ।
তাদের কোড নিখুঁত ছিল না।
কিন্তু এটি ছিল কাজের।
আর কাজের জিনিস আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।
স্থানীয় চ্যাম্পিয়নদের ভূমিকা: শিক্ষক, মা, এবং চাচা
এটি খালি জায়গায় ঘটেনি।
প্রতিটি কোডারের পিছনে ছিল একটি স্থানীয় চ্যাম্পিয়ন।
- একটি মা যিনি বলেছিলেন: “এগিয়ে যাও — আমি রান্নার দায়িত্ব নেব।”
- একটি স্কুল শিক্ষক যিনি পরীক্ষার সপ্তাহে হটস্পট ধার দিয়েছিলেন
- একটি চাচা যিনি রবিবার মেয়েদের ওয়াইফাই ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন
- একটি বোন যিনি তার ফোন চার্জার শেয়ার করেছিলেন
ময়মনসিংহের এক গ্রামে, এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তার বাড়িকে একটি “ফোন লার্নিং সেন্টার” হিসাবে খুলেছিলেন — মেয়েদের ডিভাইস চার্জ এবং পাখার নিচে একসাথে পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।
অন্য একটিতে, একটি স্থানীয় মসজিদ কমিটি প্রার্থনার পর মেয়েদের মসজিদের ওয়াইফাই ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল — ধর্মের জন্য নয়, শিক্ষার জন্য।
এগুলো ছিল না বড় অনুষ্ঠান।
এগুলো ছিল বিশ্বাসের ছোট কাজ।
আর বিশ্বাস সংক্রামক।
নীরব বিপ্লব: স্মার্টফোন সবকিছু পরিবর্তন করেছে কেন
স্মার্টফোনের আগে, প্রযুক্তি শেখা মানে:
- শহরে যাওয়া
- ইন্টারনেট ক্যাফে দিয়ে টাকা দেওয়া (BDT ৩০/ঘন্টা)
- একটি ল্যাপটপ কেনা (BDT ৩০,০০০+)
অধিকাংশ গ্রামের পরিবারের জন্য অসম্ভব।
কিন্তু স্মার্টফোন নিয়ম পরিবর্তন করেছে।
- খরচ: BDT ২,০০০ একটি পুরানো ফোনের জন্য
- অ্যাক্সেস: ৩ জন মেয়ে দ্বারা একটি ফোন শেয়ার করা
- গোপনীয়তা: নিজের ঘরে শেখা, কোনো সমালোচনা ছাড়া
- গতি: নিজেদের গতিতে শেখা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ — এটি তাদের নিজেদের ছিল।
কেউ “অনুমতি” দেয়নি।
তারা সুযোগ নিয়েছিল।
এবং এতে করে, তারা এশিয়ার গ্রামের মেয়েদের জন্য কী সম্ভব তা পুনর্নির্ধারণ করেছে।
চ্যালেঞ্জ যা তারা এখনও মোকাবেলা করে (এবং কীভাবে জয় করে)
এটি সব সহজ নয়।
ব্যাটারি লাইফ: ফোন সন্ধ্যায় নিঃশেষ হয়ে যায়।
→ তারা চা স্টলে চার্জ করে (BDT ১০/চার্জ) বা সোলার পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করে।
স্ক্রিনের আকার: ছোট স্ক্রিনে কোড দেখা কঠিন।
→ তারা জুম করে। তারা সিনট্যাক্স মুখস্থ করে। তারা কাগজে অনুশীলন করে।
পারিবারিক চাপ: “কেন রান্না শেখো না?”
→ তারা ফলাফল দেখায়। এক মেয়ে তার মায়ের মুদি দোকানের জন্য একটি সহজ ক্যালকুলেটর অ্যাপ তৈরি করেছিল। পরিবার ধরা পড়েছিল।
কোনো সার্টিফিকেট নেই: বিনামূল্যে অ্যাপগুলো ডিপ্লোমা দেয় না।
→ তারা অনলাইন হ্যাকাথন বা ফেসবুক কোডিং চ্যালেঞ্জে যোগ দেয় — যেখানে দক্ষতা কাগজের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তারা সিস্টেমকে পরিবর্তন করার জন্য অপেক্ষা করে না।
তারা নিজেদের সিস্টেম গড়ে তোলে।
শেখা থেকে আয়ে: প্রথম সাফল্যের গল্প
২০২২ সালে, একটি সুন্দর ঘটনা ঘটে।
যে মেয়েরা ফোনে কোড শিখেছিল, তারা টাকা আয় করা শুরু করল।
- নাদিয়া, ১৭ (নোয়াখালি): স্কুলের শিশুদের জন্য দৈনিক গণিতের কুইজ পাঠানোর ওয়াটসঅ্যাপ বট তৈরি করেছে। মাসে BDT ৩,০০০ আয় করে।
- ফারিদা, ১৯ (রংপুর): তার চাচার দোকানের জন্য একটি সহজ ইনভেন্টরি অ্যাপ তৈরি করেছে। এখন ছোট ব্যবসার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে।
- তাসনিম, ১৬ (সিলেট): বন্যার সতর্কতা অ্যাপ দিয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় জিতেছে। কোডিং বুটক্যাম্পে বৃত্তি পেয়েছে।
তারা কোটিপতি নয়।
কিন্তু তারা প্রমাণ করছে যে কোডের মূল্য আছে — এমনকি গ্রামেও।
এবং প্রতিটি ছোট জয়ের সাথে, আরও মেয়ে যোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য — এবং এশিয়ার জন্য এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশে ৬৪ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে — এবং ৫১% নারী (বিশ্ব ব্যাংক, ২০২৩)।
কিন্তু প্রযুক্তির চাকরি এখনও পুরুষ প্রধান।
এই মেয়েরা তা পরিবর্তন করছে — বিক্ষোভ নয়, ধৈর্য দিয়ে।
তারা প্রমাণ করছে যে:
আপনার ল্যাপটপ থাকা লাগে না কোডার হতে।
আপনার শহরে থাকা লাগে না সৃষ্টিকর্তা হতে।
অনুমতি থাকা লাগে না শক্তিশালী হতে।
এবং তাদের গল্প ছড়িয়ে পড়ছে।
নেপাল, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ায় অনুরূপ আন্দোলন বাড়ছে — সবই গাছের নিচে কোড লেখা বাংলাদেশি মেয়েদের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
এটি শুধু চাকরি নয়।
এটি মর্যাদা, কর্তৃত্ব এবং কল্পনা করার অধিকার।
আপনি কীভাবে তাদের সমর্থন করতে পারেন (দান ছাড়া)
আপনাকে স্কুল তৈরি করতে হবে না।
শুধু জায়গা তৈরি করুন।
- আপনার কাছে মেয়ে থাকলে, আপনার ফোন তাদের শেখার জন্য ব্যবহার করতে দিন।
- আপনি শিক্ষক হলে, আপনার ক্লাস গ্রুপে বিনামূল্যে অ্যাপ লিংক শেয়ার করুন।
- আপনি চা স্টলের মালিক হলে, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে চার্জিং অফার করুন।
- আপনি যদি কোড শেখা মেয়ে জানেন — তাকে তার অ্যাপ দেখাতে অনুরোধ করুন। আপনার কৌতূহলই তার জ্বালানি।
সমর্থন টাকার বিষয় নয়।
এটি তাকে দেখার বিষয়।
ভবিষ্যৎ: এই ডিজিটাল মেয়েদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
এই মেয়েদের এখন বড় স্বপ্ন আছে।
- কেউ মাতৃ স্বাস্থ্যের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে চায়।
- অন্যরা ছোট মেয়েদের কোডিং শেখাতে চায়।
- কয়েকজন বৈশ্বিক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছে।
তাদের লক্ষ্য গ্রাম ছাড়া নয়।
এটি গ্রামকে রূপান্তর করা — কোড, যত্ন এবং সাহস দিয়ে।
যেমন অঞ্জলি বলে:
“আমি আমার গ্রাম ছাড়তে চাই না। আমি এটিকে আলো দিতে চাই — আমার ফোন দিয়ে।”
চূড়ান্ত চিন্তা: একটি স্ক্রিনের শক্তি
একটি স্মার্টফোন শুধু একটি ডিভাইস নয়।
একজন গ্রামের বাংলাদেশি মেয়ের হাতে, এটি হয়ে ওঠে:
- একটি ক্লাসরুম
- একটি লাইব্রেরি
- একটি কর্মশালা
- একটি কণ্ঠস্বর
এটি ব্র্যান্ড নিয়ে নয়।
এটি এর পিছনের বিশ্বাস নিয়ে।
এবং যখন আপনি বিশ্বাস করেন যে আপনি শিখতে পারেন —
আপনি পারেন।
এবং যখন আপনি বিশ্বাস করেন যে আপনি গড়তে পারেন —
আপনি পারেন।
এবং যখন আপনি বিশ্বাস করেন যে আপনি প্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন —
আপনি পারেন।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)